অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম

Urmi Moni ✅

১৯ ফেব, ২০২৫

ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে চান? তাহলে চলুন কি কি লাগবে কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করবেন সবকিছু জেনে নিন, বিস্তারিত সব বলা হয়েছে।ভোটার আইডি কার্ড অনলাইনে কিভাবে সংশোধন করবেন তা সবকিছু বিস্তারিত জানানো হলো।

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের প্রক্রিয়াটি নিচে বিস্তারিত দেখানো হলো। প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে অনুসরণ করে আপনার এনআইডি সংশোধনের আবেদন করতে পারবেন। আপনি যা যা সংশোধন করবেন তা তথ্যের পূর্ব রূপ ও সংশোধিত রূপ দেখতে পাবেন।

সূচিপত্রঃ জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন এর নিয়ম

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন
ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন
জাতীয় পরিচয় পত্রের অন্যান্য তথ্য সংশোধন
ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা সংশোধন
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ফ্রি
ভোটার আইডি কার্ডসংশোধন সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর
ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য আপনাকে প্রথমে এনআইডি ওয়েবসাইটে আপনার NID Number, জন্ম তারিখ এবং একটি সিকিউরিটি ক্যাপচা পূরণ করে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তারপর ফেস ভেরিফিকেশন করে একাউন্ট লগইন করুন। আপনার প্রোফাইলে এডিট বাটনে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য পরিবর্তন করে আবেদন জমা দিন।

চলুন তাহলে আমরা জেনে নিই আইডি কার্ড সংশোধন করার পুরো প্রক্রিয়াটি ।জাতীয় পরিচয় পত্র ওয়েব সাইটে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য প্রথমে ভিজিট করতে হবে এনআইডি ওয়েবসাইটে।ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার জন্ম তারিখ ঠিকানা মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন করে একাউন্ট তৈরি করতে হবে।অ্যাকাউন্ট তৈরির পর্যায়ে আপনার যদি কোন ইনফরমেশন ভুল থাকে তাহলে সেটা যদি আপনি চেঞ্জ করতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার জন্ম তারিখ দিয়ে ফর্ম ফিলাপ করতে হবে।

এনআইডি কার্ডের নাম্বার জানা না থাকলে ভোটার স্লিপের ফরম নাম্বার ব্যবহার করতে পারবেন।ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার প্রথমে এনআইডি কার্ডের ওয়েবসাইট এ ভিজিট করুন। এখানে এনআইডি নাম্বার জন্ম তারিখ ও ঠিকানা দিয়ে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করুন। এরপর সংশোধন ফি ও প্রমাণপত্র আপলোড করে আবেদন জমা দিন। আবেদন অনুমোদিত হলে তথ্য সংশোধন হবে।

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন প্রক্রিয়াটি নিচে বিস্তারিত দেখানো হলো। প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে অনুসরণ করে আপনার এই আইডি সংশোধনের আবেদন করতে পারবেন।

১ নং ধাপ : প্রয়োজনীয় কাগজপত্রই স্ক্যান /ছবি তুলে নিন

ভোটার আইডি সংশোধন আবেদন করার আগে আপনার উচিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্ক্যান করে নির্দিষ্ট সাইজের মধ্যে ক্রপ করে না। স্ক্যান করতে না পারলে, কোন টেবিলের ওপর রেখে উপর থেকে ছবি তুলে নিন।

২ নং ধাপ: এনআইডি ওয়েবসাইট রেজিস্ট্রেশন করুন

জাতীয় পরিচয় পত্র সাইটে রেজিস্ট্রেশন করা থাকে সরাসরি এন আই ডি নাম্বারও পাসপোর্ট দিয়ে লগইন করুন রেজিস্ট্রেশন করা না থাকলে আগে রেজিস্টার অপশন থেকে রেজিস্ট্রেশন করুন।

৩ নং ধাপ: তথ্য সংশোধন করুন

জাতীয় পরিচয় পত্রের account login করার পর প্রোফাইল অপশনে যান। ধরনের তথ্য রয়েছে ব্যক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য ও ঠিকানা। ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন করার জন্য উপরের ডান পাশ থেকে এডিট বাটন ক্লিক করবেন।আপনি যে তথ্যটি সংশোধন করতে চান, তার বাম পাশের ঠিক অপশনে ক্লিক করুন এভাবে আপনার ভুল তথ্য গুলো প্রমাণপত্রের সাথে মিল রেখে সঠিকভাবে টাইপ করুন। তারপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন। আপনার সংশোধন করা তথ্যের পূর্ব রূপ ও সংশোধিত রূপ দেখতে পাবেন। সব ঠিক থাকলে আবারো পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

৪ নং ধাপ : জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ফ্রি প্রদান করুন

এখন, আপনাকে আপনার ভুল তথ্যের ধারণা অনুযায়ী ফি প্রদান করতে হবে আপনি যদি সঠিক তথ্য দিয়ে রাখেন তাহলে আপনার যেটা ফি সেটাই দিতে হবে । আর আপনি যদি ভুল করে থাকেন তাহলে ভ্যাট সহ ফি প্রদান করতে হবে। মনে রাখবেন আপনার কম্পিউটার বা মোবাইলে এতক্ষণ যা করছেন তা ক্লোজ করবেন না ফি প্রদান করে আপনাকে আবার আবেদনের বাকি কাজ। শেষ করতে হবে

বিকাশের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ফি জমা দেওয়ার নিয়ম

বিকাশের মাধ্যমে ফ্রি দিতে বিকাশ অ্যাপ থেকে আপনার বিকাশ একাউন্ট লগইন করুন। এবং নিচের ধাপ গুলো অনুসরণ করুন।

1. পে বিল অপশনে যান

2. সরকারি ফি অবশনে ক্লিক করুন এনআইডি সার্ভিস অপশনটি বাছাই করুন।

3. আপনার এন আইডি নাম্বারটি ইংরেজিতে লিখুন

4. আপনার আবেদন ধরন বাছাই করুন

5. আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন নাম্বার দিয়ে ফ্রি পরিশোধ করুন।

এই সব কিছু হয়ে গেলে ফি পরিশোধ করা হলে আপনি জাতীয় পরিচয় পত্রের ওয়েবসাইটের আবার ফিরে আসবেন এবং প্রমাণপত্র আপলোড করে আবেদনটি সাবমিট করুন।

৫ নং ধাপ :ডকুমেন্ট আপলোড ও আবেদন সাবমিট

আপনাকে প্রথম ধাপে প্রয়োজনে ডকুমেন্টগুলো স্ক্যান বা ছবি তুলে একটি ফোল্ডারে রাখার জন্য বলেছিলাম। এখন প্রয়োজন মোতাবেক আপনার ডকুমেন্টগুলো আপলোড করে আবেদনটি সাবমিট করতে পারবেন। আপনি আইডি কার্ডে যে তথ্য পরিবর্তন করতে চান তা প্রমাণ করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হবে। ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধনের জন্য সবথেকে কার্যকর প্রমাণ হলো শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদ, পাসপোর্ট কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স। তার পাশাপাশি অনলাইন জন্ম তারিখ সনদ আপলোড করতে হবে।

৬ নং ধাপ : ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফরম ডাউনলোড

আবেদন সাবমিট করার পর, আবার ড্যাসবোর্ডে ফিরে আসতে হবে। উপরের দিকে আবেদনটি ডাউনলোড করার এটি লিংক দেখতে পারবেন লিংকে ক্লিক করে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ফরম ডাউনলোড করে নিজের কাছে সংরক্ষণ করুন।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে আপনার যা যা কাগজপত্র জমা দিতে হবে, তা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে জাতীয় পরিচয় পত্রের কি ধরনের তথ্য পরিবর্তন করা হবে তার ওপরে। NID Card সংশোধন করতে শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদ, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ ড্রাইভিং লাইসেন্স, ই পাসপোর্ট প্রমাণ হিসেবে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।ওপরে বর্ণিত মৌলিক ডকুমেন্ট গুলো না থাকলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নাগরিক সনদ ওয়ারিশ সনদ আপলোড করতে হবে।

আইডি কার্ডে স্বামী কিংবা স্ত্রীর নাম সংশোধন করতে কাবিন নামার প্রয়োজন হয়। তেমনি ভাবে জাতীয় পরিচয় পত্রে রক্তের গ্রুপ না দেওয়া থাকলে তা যুক্ত করতে মেডিকেল ক্লিনিক হতে রক্তের গ্রুপিং টেস্ট রিপোর্ট আপলোড করতে হবে । ঠিকানা সংশোধন করতে বিদ্যুৎ বিলের কাগজ জমা দিতে হবে।এনআইডি কার্ডের তথ্য কোন প্রকার ভুল থাকলে তা অনলাইনে আবেদন করার মাধ্যমে সংশোধন করা যায়।

সাধারণত নতুন ভোটার আবেদন করার সময় কেউ ভুল তথ্য প্রদান করলেন বা কম্পিউটার অপারেটর ভুল টাইপিং করার ফলে আইডি কার্ড ভুল হয়ে থাকে। নিয়ম মেনে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসহ আবেদন করলে এনআইডির যেকোন ভুল সংশোধন করা যায়। জাতীয় পরিচয় পত্রের কোন ভুল এখন অনলাইনে সংশোধন আবেদনের মাধ্যমে পরিবর্তন করা যায়। এনআইডি কার্ডে নিজের নামে ভুল হলে অথবা বাবা মায়ের নাম ভুল হলে তা খুব সহজে সংশোধন করা যায়।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন বা জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে সর্বনিম্ন ২৩০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩৫০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়। আবেদনের ধরনের উপর সংশোধন ফি নির্ভর করে। ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন তিনটি প্রধান শ্রেণীতে বিভক্ত -

ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন
অন্যান্য তথ্য
ঠিকানা পরিবর্তন

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি কত তা একটি টেবিলে উপস্থাপন করা হলো

সংশোধনের ধরন	সংশোধন ফি
ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন	২৩০ টাকা
অন্যান্য তথ্য সংশোধন	১১৫ টাকা
উভয় তথ্য সংশোধন	৩৭৫ টাকা
আইডি কার্ড রিইস্যু(Urgent)	৩৭৫ টাকা
আইডি কার্ড রিইস্যু (regular)	২৩০ টাকা

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফ্রি তালিকা

এখানে আইডি কার্ডের সংশোধন ফ্রি বিকাশ রকেট নগদ মোবাইল দিয়ে পরিশোধ করা যায়। বিকাশে এন আই ডি নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি সংশোধন ফি জমা দেওয়া যায়।ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করতে ভ্যাট সহ ২৩০ টাকা লাগে। স্মার্ট কার্ড সংশোধন ফি ভ্যাট সহ সর্বনিম্ন ২৩০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৩৪৫ টাকা। স্মার্ট আইডি কার্ড সংশোধন আবেদনের ক্যাটাগরির ওপর সংশোধন ফ্রি নির্ভর করে।

ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন

জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্ম তারিখ ভুল থাকলে তা পরিবর্তন করার জন্য নির্বাচিত ওয়েবসাইট ভোটার আইডি কার্ড লগইন করুন। তারপর প্রোফাইল থেকে ব্যক্তিগত তথ্য এডিট বাটনের চেপে জন্ম তারিখের ঘরে টিক চিহ্ন দিয়ে আপনার সঠিক জন্ম তারিখ লিখুন। সংশোধন ফি পরিশোধ জমা দিন। ডকুমেন্ট আপডেট করার সময় আপনার সঠিক জন্ম তারিখ প্রমাণিত হয় এমন প্রমাণ পত্র জমা দিন।

জন্ম তারিখ সংশোধন করতে বেশি কার্যকারী ডকুমেন্ট হল JSC, SSC,HSC বোর্ড সার্টিফিকেট শিক্ষাগত সনদ না থাকলে পাসপোর্ট কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স আপলোড দিলেও অনুমোদন পাওয়া যাবে। তবে যে ডকুমেন্ট প্রমাণ হিসাবে আপলোড করা হোক না কেন, আপনার সব ডকুমেন্ট সংশোধন আবেদনের সাথে মিল থাকতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন

ভোটার আইডি কার্ডে নিজের নাম সংশোধন করতে জেএসসি/ এসএসসি /এইচ এস সি সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদ এবং জন্ম নিবন্ধন লাগবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদ না থাকলে সে খেতে পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, বিয়ের কাবিন ও কমপক্ষে দুই সন্তানের আইডি কার্ডের ফটোকপি এগুলো থেকে যেকোনো একটি দেওয়া যায়। অর্থাৎ আপনার নাম বা জন্মতারিখের প্রমাণস্বরূপ কমপক্ষে দুটি ডকুমেন্ট দিলে ভালো হয়।

যেকোনো একটি ডকুমেন্ট দিল আবেদন করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আবেদন অনুমোদন সম্ভাবনা কম থাকে।। অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ডের সম্পূর্ণ ঠিকানা পরিবর্তন করা যায় না। শুধুমাত্র বাসার নম্বর ও গ্রামের নাম সংশোধন করা যায়। সম্পূর্ণ ঠিকানা সংশোধনের জন্য একটি ঠিকানা পরিবর্তন ফর্ম পূরণ করে আপনার সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে।

জাতীয় পরিচয় পত্র অন্যান্য তথ্য সংশোধন

জাতীয় পরিচয় পত্রের অন্যান্য তথ্যের মধ্যে রয়েছে শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, মোবাইল নাম্বার, ঠিকানা, ধর্ম ইত্যাদি। অনলাইনে আবেদন করে সঠিক প্রমাণ আপলোড করে এসব তথ্য সংশোধন করা যাবে। অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য ভ্যাট সহ ১১৫ টাকা ফি লাগবে।

ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা সংশোধন

জাতীয় পরিচয় পত্রের ঠিকানা পরিবর্তন করার জন্য অনলাইনে আবেদন করা যায় না। ঠিকানা পরিবর্তন করার জন্য ভোটার এলাকার স্থানান্তর ফরম পূরণ করে নির্বাচন অফিসে গিয়ে জমা দিতে হবে। এই ঠিকানা পরিবর্তন ফরম কে ১৩ নং ফরম বলা হয়। ভোটার এলাকা পরিবর্তনের যথার্থ কারণ ও প্রমাণ থাকলে খুব সহজে জাতীয় পরিচয় পত্রের ঠিকানা সংশোধন করা যায়। আগে ঠিকানায় কত সময় ধরে বসবাস করেছেন বর্তমান যে এলাকায় ভোটার হস্থান্তর করছেন তার কারণ উল্লেখ করে আবেদন করতে হবে।

অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রায় সকল তথ্য পরিবর্তন বা সংশোধন করার অপশন থাকলেও ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার বিষয়টি এখন অনলাইন ভিত্তিক রয়ে গেছে। ভোটার এলাকা পরিবর্তন কঅ করতে হলে ভোটার এরিয়া মাইগ্রেশন ফ্রম পূরণ করে এলাকায় ভোটার হতে চান সেই এলাকার নির্বাচন কমিশন অফিসে জমা দিতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে?

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে সাধারণত প্রয়োজন হয় শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদ পাসপোর্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স, ও ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন কপি।

কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করব?

আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য এনআইডি ওয়েবসাইটে গিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করুন। একাউন্টে লগইন করে প্রোফাইল অপশনে যান। এবার এডিট লিঙ্গে ক্লিক করে সঠিক জন্ম তারিখ লিখে পরবর্তী ধাপে যান। এবার জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ফ্রি দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করে আবেদন সাবমিট করুন।

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে?

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে ৭/১৫ দিন সময় লাগে। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে এটি সর্বোচ্চ ৪৫ দিন লাগতে পারে। নির্বাচন কমিশনের অনুযায়ী এনআইডি কার্ড সংশোধন আবেদন ৪৫ দিনের মধ্যে অনুমোদন বাতিল করা হয়।

ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কি কি লাগে?

ভোটার আইডি কার্ডে নাম সংশোধন করতে জেএসসি /এসএসসি /এইচএসসি সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র বা জন্ম নিবন্ধন লাগে। শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদ না থাকলে সে ক্ষেত্রে পাসপোর্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স এসব কিছুর যেকোনো ১টি দিলেই হবে।

আরো পড়ুনঃ জবা ফুলের উপকারিতা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য

ভোটার আইডি কার্ড কতবার সংশোধন করা যায়?

ভোটার আইডি কার্ডে একই তথ্য আরে বেশি সংশোধন করা যায় না তবে ঠিকানা স্বামীর নাম স্ত্রীর নাম এবং রক্তের গ্রুপ একাধিকবার সংশোধন করা যায়।

এনআইডি কার্ডে স্বাক্ষর পরিবর্তন করতে চাই, কিভাবে করতে পারি?

এনআইডি কার্ডের স্বাক্ষর পরিবর্তন করতে উপজেলা নির্বাচন অফিসে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ফর্ম ২ পূরণ করে আবেদন করতে হবে। সংশোধন ফি বাবদ ভ্যাটসহ ২৩০ টাকা মোবাইলের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

ভুলক্রমে পিতা মাতা অথবা স্বামীকে মৃত উল্লেখ করা হলে তা সংশোধনের জন্য কি কি ডকুমেন্ট বা দলিল করতে হবে?

জীবিত কোন ব্যক্তিকে মৃত উল্লেখ করা হলে তা সংশোধনের জন্য সেই ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্র দলিল করতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কত টাকা লাগে?

আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করতেন ভ্যাট সহ ২৩০ টাকা লাগে।

নিজ পিতা স্বামী মাতার নামের বানান সংশোধন করতে আবেদনের সাথে কি কি দলিল জমা দিতে হবে?

নিজ পিতা মাতার নাম সংশোধন করতে শিক্ষা সনদ, জন্ম নিবন্ধন, ভাই বোনের এনআইডি কার্ড জমা দিতে হবে । স্বামীর নাম সংশোধন করতে বিবাহের কাবিননামা এবং স্বামীর এনআইডি জমা দিতে হবে।

স্মার্ট কার্ড সংশোধন ফি কত?

স্মার্ট কার্ড সংশোধন ফ্রি ভ্যাটসহ সর্বনিম্ন ২৩০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৩৪৫ টাকা। স্মার্ট আইডি কার্ড সংশোধন আবেদনের ক্যাটাগরীর ওপর সংশোধন ফি নির্ভর করে।

ক্যাটাগরি : এনআইডি কার্ড কালেকশন

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট :আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে

সময় :আইডি কার্ড সংশোধন কতদিন লাগে

সংশোধন ফ্রি :ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে

আবেদন বাতিল : এনআইডি সংশোধন আবেদন বাতিল

ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা সংশোধন

ভোটার আইডি কার্ডের সম্পূর্ণ ঠিকানা পরিবর্তন করা যায় না শুধুমাত্র বাসার নাম্বার ও গ্রামের নাম সংশোধন করা যায়। সম্পূর্ণ ঠিকানা সংশোধনের জন্য এটি ঠিকানা পরিবর্তন ফরম পূরণ করে আকৃষ্ট নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে। জাতীয় পরিচয় পত্রের ঠিকানা পরিবর্তন করার জন্য অনলাইনে আবেদন করা যায় না। ঠিকানা পরিবর্তন করার জন্য ভোটার এলাকা স্থানান্তর ফরম পূরণ করে নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে। এই ঠিকানা পরিবর্তন ফরম কে ১৩ নাম্বার ফরম বলে।

ভোটার এলাকা পরিবর্তনের যথার্থ প্রমাণ থাকলে সহজেই জাতীয় পরিচয় পত্রের ঠিকানা পরিবর্তন করা যায়। আগে ঠিকানায় কত সময় ধরে বসবাস করেছেন, বর্তমানে এলাকায় ভোটার হস্তান্তর করেছেন তার কারণ উল্লেখ করতে হয় আবেদন ফরমে। অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রায় সকল তথ্য সংশোধন করার অপশন থাকলেও ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার বিষয়টি এখন অনলাইন ভিত্তিক রয়ে গেছে। ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে হলে ভোটার এরিয়া মাইগ্রেশন ফরম পূরণ করে যে এলাকায় ভোটার হতে চান সেই এলাকার নির্বাচন কমিশন অফিসে জমা দিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয়

মাইগ্রেশন ফরম পূরণ করে সাথে ভোটার এলাকা পরিবর্তনের কারণ প্রমাণ নিয়ে স্থানীয় ও নির্বাচন অফিসে যেতে হবে। বাসস্থান পরিবর্তন বা চাকরি বদলির কারণে ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চাইলেন জব পোস্টিং লেটার আবেদন ফরমের সাথে জমা দিতে হবে। আর বাসস্থান পরিবর্তনের কারণে ঠিকানা পরিবর্তন করতে চাইলে, বর্তমান ঠিকানার বিদ্যুৎ বিলের কাগজ যেকোনো এক কপি কাগজ অফিসে যেয়ে জমা দিতে হবে।

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করার নিয়ম অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করেছি আমরা উপরে। নিজে নিজে আইডি কার্ড সংশোধন করার এনআইডি কারেকশন সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে সাজানো হয়েছে। এনআইডি কার্ডের কোন তথ্য ভুল থাকলে তা অনলাইন আবেদন করার মাধ্যমে সংশোধন করা যায়। নতুন ভোটার আবেদন করার সময় কেউ ভুল তথ্য প্রদান করলেন অথবা কম্পিউটার অপারেটর ভুল টাইপিং করার ফলে আইডি কার্ডে ভুল হয়ে থাকে।

নিয়ম মেনে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসহ সংশোধন আবেদন করলে এন আই ডি এর যেকোনো ভুল সংশোধন করা যায়। জাতীয় পরিচয় পত্রের কোন ভুল এমন অনলাইনে সংশোধন আবেদনের মাধ্যমে পরিবর্তন করা যায়। এন আই ডি কার্ড এ নিজের নামের ভুল হলেন অথবা বাবা-মায়ের নাম ভুল করলে তা খুব সহজে সংশোধন করা যায়। জন্ম তারিখে ভুল থাকলে এন আই ডি কারেকশন অ্যাপ্লিকেশন ঘরে সংশোধন করা যাবে।

সংশোধনের ধরন ও করণীয়

১।নামের আক্ষরিক সংশোধন

এসএসসি পাস হলে এসএসসি সনদ
জন্ম সনদ অনলাইন

2.নামের আমূল সংশোধন

এসএসসি পাস হলে এসএসসি সনদ, অষ্টম শ্রেণী বা নিম্নে হলে তার সনদ প্রয়োজন নাই।
জন্ম সনদ
ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর হরফ নামা
জাতীয় দৈনিক পত্রিকা
বিবাহিত হলে, স্ত্রীর জাতীয় পরিচয় পত্র, ফটোকপি প্রদান করিতে হবে।
চেয়ারম্যান সনদ
পিতার ওয়ারিশ সনদ
বিবাহিত হলে কাবিননামা দিতে হবে।
বিবাহিত হলে সন্তানদের জাতীয় পরিচয় পত্র / জন্ম সনদ ও স্কুল সনদ সত্যায়িত কপি প্রদান করিতে হবে।

৩.স্বামী /স্ত্রী নাম সংযোগ।

স্বামী স্ত্রী নাম সংযোগ করিতে হলে কাবিননামা ও সন্তানদের জন্ম প্রদান করিতে হবে।

৪.জন্ম সনদ সংশোধন

জন্ম তারিখ একই বছরের মধ্যে সংশোধন অথবা ৯ থেকে ১০ মাসের পার্থক্য থাকলে এসএসসি সনদ ও জন্ম সনদ অনলাইন সত্যায়িত কপি প্রদান করিতে হবে।
এক বছরের অধিক হলেন আবেদনকারী পিতার সকল সন্তানদের জাতীয় পরিচয় পত্র ও পরিচয় পত্র নম্বর উল্লেখ পূর্বকোয়ারি সনদ এসএসসি সনদ সত্যায়িত কপি, জন্ম সনদ অনলাইন সত্যায়িত কপি চাকরিজীবী হলে সার্ভিস বুক কপি জমা দিবেন।
নির্বাচন অফিসার প্রয়োজনে মাঠে তদন্ত করবেন।

৫.ডাকঘর ও কোট পরিবর্তন

আবেদনকারী পিতা-মাতা অথবা ভাই বোনের জাতীয় পরিচয় পত্র কপি দিতে হবে।
চেয়ারম্যান প্রত্যয়ন
পোস্ট মাস্টারের প্রত্যয়ন।

৬. রক্তের গ্রুপ পরিবর্তন

সরকারি মেডিকেল প্রতিষ্ঠান বা বেসরকারি মেডিকেল প্রতিষ্ঠান কৃতক নিজস্ব ব্লাড টেস্টের কপি।

৭.স্বাক্ষর পরিবর্তন

পাসপোর্ট কপি ব্যাংক প্রত্যয়ন কপি ড্রাইভিং লাইসেন্স যেকোনো একটি প্রদান করিতে হবে
উপজেলা নির্বাচন অফিসার প্রয়োজনে তদন্ত করিবেন।

৮.পিতা/ মাতার নাম আমূল পরিবর্তন

এসএসসি সনদ ও ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর হরফ নামা, জাতীয় দৈনিক পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি
জন্ম সনদ অনলাইন বাংলা ও ইংরেজি
পিতা মাতা, ভাই বোনের সকলের আইডি কার্ড, জন্ম সনদ, শিক্ষা সনদ, প্রদান করিতে হবে।
চেয়ারম্যান সনদ, গার্মেন্ট প্রত্যায়ন পত্র।
পেনশন বুকের কপি অথবা সার্ভিস বুকের কপি প্রদান করিতে হবে যদি চাকরিজীবী হয়।

ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন

ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধনের তালিকায় নিজের নাম বাংলা, ইংরেজি জন্মতারিখ পিতা-মাতার নামের ভুল সংশোধন করতে পারবেন।ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধনের অধীনে যে সকল তথ্য পরিবর্তন করা যায় তা হল

ব্যক্তির নিজের নাম বাংলায়
ব্যক্তির নিজের নাম ইংরেজিতে
জন্ম তারিখ পরিবর্তন
জন্ম নিবন্ধন নাম্বার
লিঙ্গ
জন্মস্থান
পিতার নাম সংশোধন বাংলায়
পিতার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার
মায়ের নাম সংশোধন বাংলায়
মায়ের ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার

এ তালিকা থাকা এক বা একাধিক তথ্য পরিবর্তন বা সংশোধন করার জন্য ব্যক্তিগত তথ্য ট্যাব থেকে ইডিট বাটনে চাপতে হবে। আপনি যে তথ্য সংশোধন করতে চান বাছাই করুন।

আপনি যে তথ্যটি সংশোধন করতে চান, তার বাম পাশের টিক অপশনে ক্লিক করুন।

এভাবে আপনার ভুল তথ্য গুলো প্রমাণ পত্রে সাথে মিল রেখে সঠিকভাবে করুন। তারপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন। এখানে আপনার সংশোধন করা তথ্যের পূর্ব রূপ ও সংশোধিত রূপ দেখতে পাবেন। সব ঠিক থাকলে আবার পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

সংশোধিত তথ্য পুনরায় যাচাই

একই ধাপে আপনি যেসব তথ্য পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন তা একটি সারাংশ দেখতে পাবেন আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের আগে কি ছিল এবং বর্তমানে চাহিদা সংশোধন তথ্যের একটি তালিকায় দেখাবে। এখন একটি ক্রস ম্যাচ চেক করুন। সবকিছু ঠিক থাকলে পরবর্তী বাটনে চাপুন। ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয় কোন ধরনের পরিবর্তনের জন্য কি কি ডকুমেন্ট আপলোড করতে হয় বিস্তারিত সব দেওয়া আছে।

ফ্রী প্রদান

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের জন্য নির্ধারিত সরকারি ফি জমা দিতে হয়। সংশোধন ফি ধরন অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন হয়। প্রথমদিকেই ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফিসের একটি তালিকা প্রকাশ করেছি। তালিকা দেখে নিন আপনার সবকিছু ঠিক করার জন্য কত টাকা ফি দিতে হবে।

বর্তমানে সংশোধন ফি বিকাশ নগদ রকেট অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে পরিশোধ করা যায়। আপনার কাছে যে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট রয়েছেন সেটি দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ফি জমা দিতে পারবেন।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড

আপনি আইডি কার্ডে যে তথ্য পরিবর্তনের জন্য আবেদন জমা দিতে চাচ্ছেন তা প্রমাণ করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র আপলোড দিতে হবে। ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধনের জন্য সব থেকে কার্যকর প্রমাণ হল শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদ, পাসপোর্ট কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স। তার পাশাপাশি অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ আপলোড দিতে হবে।

পিতা মাতার নামের বানান পরিবর্তন করতে হলে বাবা মা আইডি কার্ডের স্ক্যান কপি এবং ভাই-বোনের আইডি কার্ডের স্ক্যানের কপি আপলোড করতে হবে। ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য আবেদন করলেন বিদ্যুৎ বিলের কাগজ আপলোড করতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন সাবমিট হয়ে গেলে আপনি চাইলেন সংশোধন ফরম ডাউনলোড করে রাখতে পারেন। আবেদন কোন মদন হয়ে গেলেন স্থায়ী ও নির্বাচন কমিশনার অফিস থেকে আপনার সংশোধিত আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে এই আবেদন ফরমটি প্রয়োজন হতে পারে। তবে অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতেন সংশোধন ফ্রম দরকার নেই।

আমাদের শেষ কথা

আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন আবেদন সফলভাবে সাবমিট হলে এবং সাথে যথাযথ ডকুমেন্ট আপলোড দিলে সর্বোচ্চ ৪৫ দিনের মধ্যে আবেদন অনুমোদন হয়ে যায়। সচরাচর তিন সপ্তাহের মধ্যেই সংশোধন আবেদন অ্যাপ্রুভ হয়ে যায়।

আপনার আবেদন অনুমোদন পেলে ফোন মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। তারপর আপনি সেটি অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে লেমেনেটিং করে করতে পারবেন আপনি চাইলে আপনার সংশোধিত ভোটার আইডি কার্ড উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে সংগ্রহ করতে পারেন।

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম

সূচিপত্রঃ জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন এর নিয়ম

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম

১ নং ধাপ : প্রয়োজনীয় কাগজপত্রই স্ক্যান /ছবি তুলে নিন

২ নং ধাপ: এনআইডি ওয়েবসাইট রেজিস্ট্রেশন করুন

৩ নং ধাপ: তথ্য সংশোধন করুন

৪ নং ধাপ : জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ফ্রি প্রদান করুন

বিকাশের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ফি জমা দেওয়ার নিয়ম

৫ নং ধাপ :ডকুমেন্ট আপলোড ও আবেদন সাবমিট

৬ নং ধাপ : ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফরম ডাউনলোড

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি কত তা একটি টেবিলে উপস্থাপন করা হলো

ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন

ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন

জাতীয় পরিচয় পত্র অন্যান্য তথ্য সংশোধন

ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা সংশোধন

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর

ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা সংশোধন

সংশোধনের ধরন ও করণীয়

ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন

সংশোধিত তথ্য পুনরায় যাচাই

ফ্রী প্রদান

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড

আমাদের শেষ কথা

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

জানার শহর এর জনপ্রিয় ব্লগ ক্যাটাগরি