রমজান মাসের ফজিলত ও আমলসমূহ ২০২৫

Urmi Moni ✅

২ মার্চ, ২০২৫

রমজান মাসের ফজিলত ও আমল সমূহ।সিয়াম বহুবচন। এর একবচন হলো সাওম, যার অর্থ বিরত থাকা। বাংলায় সাওম বা সিয়াম কে রোজা বলা হয়।রমাদান মাস আল্লাহ তা'আলা এক বিশেষ নিয়ামত।এটাই তো আমাদের সাওয়াব অর্জন করার মৌসুম।এই মাসে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে, রহমত,বরকত ও নামাতের মাস রমাদান মাস।রমাদান মাস বছরের বাকি ১১ মাস অপেক্ষা অধিক মর্যাদাশীল ও বরকত পূর্ণ মাস।এ মাসের বিশেষত্ব অনেক বেশি।

রমজান মাসের বিশেষ এক উপহার তারাবির নামাজ। এ মাসে নেক আমলের ফজিলত ৭০ গুণ বেড়ে যায়। রমাদানের খাস পুরস্কার হিসেবে আছে 'শবে কদর'। একেকটি নফল ইবাদতের সওয়াব অন্য মাসের ফরজ ইবাদতের সমতুল্য।রমাদান মাসে রহমতের দরজা খুলে দেওয়া হয়। হাজী শরীফে এসেছে -রমাদান মাস শুরু হলেই রহমতের দরজা খুলে দেওয়া হয়।চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমলগুলো সম্পর্কে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ রমজান মাসের ফজিলত ও আমলসমূহ

রমজান মাসের করণীয়
রমজান মাসের রোজার ফজিলত
রমজান মাসে বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করা
রমজান মাসে বেশি বেশি শুকরিয়া আদায় করা
রমজান মাসে নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা
রমজান মাসে বেশি বেশি জিকির করা
রমজান মাসে তাকওয়া অর্জন করা
রমজান মাসে তওবা ও ইস্তেগফার করা
রমজান মাসে ওমরা পালন করা
রমজান মাসে অধিক পরিমাণে দান সদকা করা
রমজান মাসে যা করণীয় নয়

রমজান মাসের করণীয়

রোজা: রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ। এটা রমজান মাসের বিশেষ আমল। সকল আদব রক্ষা করে পুরো মাস রোজা রাখা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য কর্তব্য।
দান সদকা করা :দান- সদকা সর্বাবস্থায় উৎকৃষ্ট অমল। একটু রমজানে দান সদকার গুরুত্ব অনেক বেড়ে যায়। হাদীস শরীফে এসেছে -'রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়ার সকল মানুষ অপেক্ষা অধিক দানশীল ছিলেন।রমজান মাসে তার দানের হস্ত আরো প্রসারিত হতো।'- সহীহ বুখারী, হাদিস ১৯০২
কোরআন মজীদ তেলাওয়াত : রমজান মাস কোরআন মসজিদ অবতরণের মাস। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিব্রাইল আলাইহিস সালাম এর সাথে রমজানের প্রত্যেক মাসে কোরআন মসজিদ দাওর করতেন।এ মাসে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে।
তারাবির সালাত :রমজানের রাতে বিশেষ আমল হলো ২০ রাকাত তারাবি নামাজ আদায় করা। এ মাসের অফুরন্ত রহমত ও মাগফিরাত লাভ করার জন্য এবং প্রতিশ্রুতি সাওয়াব ও তারাবি নামাজের প্রভাব অপরিসীম।
নফল ইবাদত :রমজান মাসের শয়তান শৃংখলা বদ্ধ থাকে। এই সুযোগে অধিক পরিমাণে নফল ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলা নিকট অর্জন করা যায় ।
সেহরি খাওয়া:সেহরি খাওয়ার মধ্যে বরকত রয়েছে এবং সিয়াম পালন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন তোমরা সেহরি খাও কেননা সেহেরীতে বরকত রয়েছে (সহিহ মুসলিম :১/৩৫০)
ইফতার করা:রোজাদারদের ইফতার করানো অনেক সবের কাজ। আপনি যদি দেখেন একটা রোজাদার ব্যক্তি ইফতার করার কিছু পাচ্ছে না তাহলে আপনি যে তাকে যদি ইফতার করান তাহলে তার থেকে কিছু সওয়াব আপনার কাছে আসবে। প্রতিদিন কমপক্ষে একজন রোজাদারকে ইফতার করানোর চেষ্টা করতে হবে। হাদিসে এসেছে :'যে ব্যক্তির সিয়াম পালন করবে, সে যেন খেজুর দিয়ে ইফতার করে, খেজুর না পেলে পানি দিয়ে ইফতার করবে। কেননা পানি হল অধিক পবিত্র। '(সুনান আবু দাউদ :২৩৫৭,সহিহ)

রমজান মাসের রোজার ফজিলত

রমজান মাসের রোজার প্রত্যেক নেক আমলের বিভিন্ন ফজিলত ও সওয়াব রয়েছে যা দ্বারা মহান রাব্বুল আলামিন আমলকারীকে পুরস্কৃত করবেন, কিন্তু রোজার বিষয়টি একেবারে স্বতন্ত্র। কারণ রোজার বহুৎ প্রতিদান ছাড়াও এ বিষয়ে একটি ঘোষণা রয়েছে।রাসূলে করীম(সা.)ইরশাদ করেন

মানুষের প্রত্যেকটি আমলকে বৃদ্ধি করা হয়। একটি নেকি ১০ গুন থেকে ৭০গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন :কিন্তু রোজার ব্যাপারটি ভিন্ন। কারণ রোজা আমার জন্য। সুতরাং তার প্রতিদান আমি নিজেই প্রদান করব। - সহীহ বখরী,হাদিস ১৮৯৪; সহীহ মুসলিম, হাদিস ১১৫১/১৬৪

রমজান মাসে বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করা

রমজান মাসে বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করা পবিত্র রমজান মাসে কোরআন তেলাওয়াত নাযিল হয়েছিল। এই মাস মহাগ্রন্থ আল-কোরআন পড়া ও শেখার মাস। সাধারণত কোরআন তেলাওয়াত প্রতি হরফের বিনিময়ে ১০ নেকের ঘোষণা করা হয়েছে হাদিস শরীফে। আর রমজান মাসের সেই ১০ নেকির ওপর আরো ১০গুণ বৃদ্ধি থেকে শুরু করে আল্লাহ তায়ালা যত ইচ্ছা বরকত দান করেন। হাদিসে এসেছেন :"রোজা আমারই জন্য। এর পুরস্কার আমি নিজেই দেব। আর প্রত্যেক নেক কাজের বিনিময়ে দশগুণ বৃদ্ধি করব। (বুখারী, শরীফ, ইফা, হাদিস নাম্বার ১৭৭৩)

রমজান মাসে বেশি বেশি শুকরিয়া আদায় করা

রমজান মাসে বেশি বেশি শুকরিয়া আদায় মানব জীবনে পবিত্র মাহে রমজান মাস পাওয়া নিঃসন্দেহে সৌভাগ্যের বিষয়। এ কারণে আল্লাহ সুবহান আল্লাহ তায়ালার বেশি বেশি শুকরিয়া আদায় করা উচিত। বেশি বেশি হামদ ও ছানা পাঠ করে মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। পাশাপাশি আগামী রমজানের জন্য আল্লাহর নিকট তাওফিক প্রত্যাশা করা। এ বিষয় নির্দেশনা আল কোরআনেও এসেছে। আল্লাহু সুবহানাল্লাহু তাআলা এরশাদ করেন যে :'আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূরণ করো এবং তিনি তোমাদেরকে যে হেদায়েত দিয়েছেন তার জন্য আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা কর এবং যাতে তোমরা সবুর কর (সূরা আল বাকারা :১৮৫)

রমজান মাসে নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা

রমজান মাসে নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য বিশেষ ফজিলত। এ নামাজে রাতে শেষ তৃতীয়াংশে নির্জনে একাকে মহান প্রতিপালকের সামনে সিজদায় অবনত হয়ে তার নৈক্য লাভের অন্যতম মাধ্যম। তাহাজ্জুদ নামাজ আপনি যদি গভীর রাতে পড়ে আল্লাহকে ডাকেন আল্লাহর কাছে যা চাইবেন আল্লাহ তাই আপনার মনের ইচ্ছা পূরণ করবে। রমজানের বিশেষ ফজিলতের কারণে রমজানের বিশেষ ফজিলতার কারণে এ মাসে এই নামাজের জন্য রয়েছে আরও বেশি সওয়াব ও ফাইদা।

আপনি যদি গভীর রাতে ওঠেন সেহরি খাওয়ার কিছু আগ মুহূর্ত সে সময় সুন্দর করে ওযু করে আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন সেজদায় নিজেকে লুটিয়ে ফেলেন তাহলে দেখবেন আল্লাহ আপনার কত কাছে। আপনার সবকিছু ইচ্ছা পূরণ হবে তাহাজ্জুদ নামাজ অনেক উপকারে আসে। কারণ আল্লাহ গভীর রাতে সাত আসমান থেকে প্রথম আসমানে অবতীর্ণ করেন। আর বলেন বান্দা আমার কাছে এখন যা চাইবা আমি তাকে সেটাই দেব। এজন্যই তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :ফরজ সালাতের পর সর্বোত্তম সালাত হলো তাহাজ্জুদ সালাত (সহিহ মুসলিম :২৮১২)

রমজান মাসে বেশি বেশি জিকির করা

রমজান মাসে বেশি বেশি জিকির সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :আল্লাহ তাআলা চারটি বাক্যকে বিশেষভাবে নির্বাচিত করেছেন। সেগুলো হলো যে ব্যাকটি পড়বে তার জন্য ১০টি সওয়াব লেখা হয়, আর ২০ গুনাহ মিটিয়ে দেওয়া হয়। যে ব্যক্তি পড়বে তার জন্য ২০টি সাওয়াব লেখা হয় আর ২০টি গুনাহ মিটিয়ে দেওয়া হয়। যে ব্যক্তি পড়বে তার জন্য ২০ টি সাওয়াব লেখা হয়, আর ২০টি গুনাহ মিটিয়ে দেওয়া হয়।

আর যে ব্যক্তি আন্তরিকভাবে পড়বে, তার জন্য ৩০ টি সাওয়াবলেখা হয়, আর ৩০ টি গুনাহ মিটিয়ে দেওয়া হয়। তাই আমরা রমজান মাসে বেশি বেশি দোয়া ও জিকির করব। কারণ রমজান মাসে বেশি বেশি দোয়া জিকির করলে আল্লাহর অনেক নিকটে যাওয়া যায়। এবং আল্লাহ তাআলা অনেক ভালবাসেন। আমরা যদি অনেক গুনাহ করে থাকি তাহলে এ রমজান মাসে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি জিকির করব। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ আমাদের সকল ইচ্ছা পূরণ করবেন।

রমজান মাসে তাকওয়া অর্জন করা

রমজান মাসে তাকওয়া অর্জন তাকওয়া এমন একটি গুণ, যা বান্দাকে আল্লাহর ভয় যাবতীয় পাপ কাজ থেকে বিরত রাখেন এবং তার আদেশ মানতে বাধ্য করে। আর রমজান মাসে তাকওয়া নামক গুনটি অর্জন করা এক বিশেষ মৌসুম।আপনি আপনার জীবনে অনেক পাপ কাজ করেছেন সেগুলো থেকে যদি রেহাই পেতে চান তাহলে রমজান মাসে তাকওয়া করুন তাকওয়া এমন একটি গুণ যা আল্লাহর ভয়ে মানুষ যাবতীয় পাপ কাজ থেকে দূরে রাখে।

তাই আমরা বেশি বেশি তাকওয়া অর্জন করব রমজান মাসে ফজিলত অনেক বেশি আমরা আল্লাহর কাছে যা চাইবো যেভাবে চাইবো আল্লাহ সেটাই আমাদের ইচ্ছা পূরণ করবেন। পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে তাকওয়ার ফজিলত অনেক বেশি। কোরআনে এসেছে :হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। যাতে করে তোমরা এর মাধ্যমে তাক অবলম্বন করতে পারো। (সূরা আল বাকারা :১৮৩)

রমজান মাসে তাওবা ও ইস্তেগফার করা

রমজান মাসে তাওবা ও ইস্তেগফার করা তাওবা শব্দের অর্থ কি জানেন তাওবা শব্দের আভিধানিক অর্থ' ফিরে আসা',পারিভাষিক অর্থে আল্লাহ তাআলার কাছে গুনাহের জন্য লজ্জিত হয়ে বিনীতভাবে ক্ষমা চেয়ে পুনরায় উক্ত গুনাহের কাজে আর কখনো না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া। আপনি এমন একটা পাপ কাজ করেছেন সে পাপ কাজ থেকে আপনি সরে আসতে পারছেন না আল্লাহর কাছে নির্জন রাতে বসে থেকে হু ইজ দ্যায় লুটিয়ে পড়ে আল্লাহর কাছে তাওবা করেন আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল তওবা করলে সেটা আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না তবে সে পাপ কাজ যদি আবার করেন তাহলে তওবা করে কোন লাভ হবে না তাই তওবার মত তওবা করতে হবে যাতে আল্লাহ আপনাকে কবুল করেন।

আর সেটাতে আর কখনো সে গুনাহের আর কখনো না যাওয়া সিদ্ধান্ত নিতে পারলে আল্লাহ তা'আলা আপনার তওবা কবুল করবেন। পবিত্র রমজান মাস তওবা করার উত্তম সময়। তওবা কারী কে আল্লাহপাক ভালবাসেন। আল কোরআনে আছে -'হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহর কাছে তওবা কর খাঁটি তওবা ;আশা করা যায় তোমাদের রব তোমাদের পাপ সমূহ মোচন করবেন এবং তোমাদেরকে এমন জান্নাত সমূহে প্রবেশ করাবেন যার পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত । সেদিন আল্লাহর নবী ও তার বিশ্বাসী নবীগণদের অপদস্ত করবেন না। তাদের নূর তাদের সামনে ও ডান দিকে ছুুটি করবে।তারা বলবে -হে আমাদের পালনকর্তা আমাদের নুরকে পরিপূর্ণ করে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন নিশ্চয় আপনি সর্বসকিছুর ওপর শক্তিমান। '(সূরা আত- তাহরীম:৮)

রমজান মাসে ওমরা পালন করা

রমজানে একটি উমরা পালন করলে একটু হজ আদায়ের সমান নাকি পাওয়া যায়। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছেন :রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন রমজান মাসে ওমরা করা আমার সঙ্গে হজ আদায় করার সমতুল্য '(সহিহ আল- বুখারী :১৮৬৩)

রমজান মাসে অধিক পরিমাণের দান সদকা করা

পবিত্র রমজান মাসে অধিক পরিমাণে দান করতে করতে হবে। পবিত্র মাহে রমজান মাসে রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্যান্য মাসের থেকে রমজান মাসে দান সদকার হাত বাড়িয়ে দিতেন। আমাদের নবী সব সময় সবাইকে দান সদকা করেছেন। কিন্তু রমজান মাসে অন্যান্য মাসের থেকে বেশি দান ছদকা করতেন। তাই আমরা আমাদের নবীর থেকে এটা জানবো যে আমাদেরও পবিত্র রমজান মাসে অনেক বেশি দান ছদকা করতে হবে।

আমাদেরও উচিত পবিত্র মাহে রমজান মাসে বেশি বেশি দান ছদকা করা। যাকাত যাদের জন্য ফরজ তারা অবশ্যই যাকাত আদায় করে থাকেন। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত :'রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দানশীল আর রমজানের তার দানশীলতা আরো বেড়ে যেত '(সহিহ আল -বুখারী :১৯০২)

পরিশেষে যা করণীয় নয়

রমাদান মাসে ফজিলত হাসিল করার জন্য এমন কিছু কাজ রয়েছে যা থেকে বিরত থাকা দরকার এগুলো নিম্নে উপস্থাপন করা হলো :

বিলম্বে ইফতার করা
সাহরি না খাওয়া
শেষের ১০ দিন কেনা কাটায় ব্যস্ত থাকা
মিথ্যা বলা ও অন্যান্য পাপ কাজ করা
অপচয় ও অপব্যয় করা
বেহুদা কাজে রাত জাগরণ করা
অশ্লীল ছবি, নাটক দেখা
বেশি বেশি ঘুমানো
শংকর তৈরি করার জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির জন্য
বেশি বেশি খাওয়া
জামাতের সাথে ফরজ সালাত আদায়ের অলসতা করা
তিলাওয়াতের হক আদায় না করে কোরআন খতম করা
দুনিয়াবি ব্যস্ততায় মগ্ন থাকা

পরিশেষে আমার মতামত

রমজান মাসে আমরা বেশি বেশি আমল করব। কারণ এই মাস সাওয়াব অর্জনের মাস। রমজান মাস আল্লাহ প্রদত্ত এক বিশেষ ফজিলত এর মাস। এই মাসে কোরআন অবতীর্ণ হয়। রমজান মাস গেম ৩ ভাগে ভাগ করা হয়। রহমত, বরকত ও নাজাত। এই বিশেষ মাসে বেশি বেশি আমল করতে হয়।এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আমল আছে যেগুলো পালনের মাধ্যমে আমরা জান্নাতে যেতে পারি, জাহান্নামের কঠিন আজাব থেকে মুক্তি পেতে পারি।